সেতু টিভি ডেক্স নিউজ
চকরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটর দুর্জয় চৌধুরী (৩৫) থানায় হেফাজতে মৃত্যুবরণ করেছেন। অভিযোগ রয়েছে, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রেবেকা খাতুনের করা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগকে কেন্দ্র করে থানায় নিয়ে যাওয়ার পর এ ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশ বলছে, এটি আত্মহত্যা।
বিদ্যালয়ের কিছু অর্থ আত্মসাৎ হয়েছে—এমন অভিযোগ আনেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রেবেকা খাতুন। লিখিত মামলা না করে বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি দুর্জয় চৌধুরীকে নিয়ে যান চকরিয়া থানায়। সেখানেই ওসির উপস্থিতিতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে শারীরিক নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ করেছে নিহতের পরিবার। দুর্জয় অর্থ আত্মসাতের কথা স্বীকার না করায় পরে তাঁর বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় মামলা দেখিয়ে থানার হাজতে রাখা হয়।
পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১২টা থেকে ভোর ৪টার মধ্যে থানার হাজতে দুর্জয়ের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে দাবি করছে। তবে নিহতের পরিবার ও সহকর্মীরা বলছেন, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, “ওসি ও প্রধান শিক্ষিকার যোগসাজশে দুর্জয়কে থানায় আনা হয়। নির্যাতনের পর তাঁকে হত্যা করে আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। দুর্জয় কোনোভাবেই আত্মহত্যা করতে পারে না।”
আইন অনুযায়ী, হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় ময়নাতদন্ত, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ইনকোয়েস্ট এবং নিরপেক্ষ তদন্ত বাধ্যতামূলক। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, ঘটনার স্বচ্ছ তদন্ত নিশ্চিত করতে থানার হাজতের সিসিটিভি ফুটেজ ও ডিউটি অফিসারের রেজিস্টার সংরক্ষণ জরুরি।
ঘটনার পর এলাকায় তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয়রা ও সহকর্মীরা ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
চকরিয়া থানার দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, “কম্পিউটার অপারেটর দুর্জয় আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনায় নিয়ম অনুযায়ী প্রক্রিয়া চলছে।” তবে নির্যাতনের অভিযোগ বিষয়ে তাঁরা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
Leave a Reply