সেতু টিভি ডেস্ক :
কক্সবাজার সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মাহমুদুল করিম মাদু’র গান ম্যান এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এখনো সেই আগের দাপুটে চিন্তাধারায় জমি দখল ও স্থানীয় লোকজনকে নির্যাতন করে বেড়াচ্ছে বলে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় বেশ কয়েকটি অভিযোগ জমা পড়েছে। স্থানীয় বেশ কয়েকজন ও প্রবাসীর কাছ থেকে চাঁদা না পেয়ে জায়গা দখলের অভিযোগও পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ছিদ্দীক ওরূপে চৌধুরী বাংলাবাজার পিএমখালী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা। সে স্থানীয় মরহুম আমির হামজা বলীর পুত্র। সে দীর্ঘদিন আওয়ামীলীগ নেতা মাহমুদুল করিম মাদু’র ছত্রছায়ায় এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছিল। একাধিক সূত্র জানায় পিএমখালী ইউনিয়নে মাদু’র গানম্যানের দায়িত্বে ছিল এই চৌধুরী। তার ছাত্রছয়ায় জমি দখল,বিচারের নামে চাঁদাবাজি,নারী নির্যাতন সহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ রয়েছ। এছাড়াও ডাকাতি মামলা ও একটি হত্যা মামলার প্রধান আসামি সে। এসব ঘটনায় বেশ কয়েকটি মামলায় সে বেশ কয়েকবার জেলও খেটেছে। কিন্তু জেল থেকে বেরিয়ে সে বীরদর্পে আবারো ধাপিয়ে বেড়ায়। সরকার পতনের পরেও এখনো এলাকায় সে ত্রাসের রাজত্ব চালিয়ে যাচ্ছে।
এক অসহায় ভোক্তভোগী বলেন, প্রায় ৪ বছর ধরে তার কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করতো। বিগত ৫ই আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর চাঁদা দিতে অনিহা প্রকাশ করায় তার ৪গন্ডা জায়গা জবর দখল করে রেখেছে। এবং ভোক্তভোগীর বেশ কয়েকটি ভাড়া বাসা জোর করে দখল করে সে ভাড়া আদায় করে নিচ্ছে। ভোক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে প্রথমে পিএমখালী ইউনিয়ন পরিষদে বিচার দেয় সেখানে সে বিচারের তোয়াক্কা করেনি। এবং পরবর্তীতে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেন। এলাকায় ভয়ে কেউ মুখ খোলতে চায়না বলে তিনি আক্ষেপ করেছেন। তাই তিনি প্রশাসনের কাছে সৃষ্টু বিচারের দাবি জানান।
স্থানীয় সাধারন জনগন কক্সবাজার সদর মডেল থানার নীরব ভূমিকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা জানান, এরকম একজন দাগী আসামি তার উপর আওয়ামীলীগ নেতার গানম্যান এখনো প্রকাশ্যে ধাপিয়ে বেড়াচ্ছে অথছ প্রশাসন নীরব ভূমিকায়। সে এখনো এলাকায় জমি দখল, ঘরবাড়ি দখল করে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে। স্থানীয়দের দাবি, এলাকায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচার করা হোক।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে গানম্যান খ্যাত চৌধুরীর ব্যবহৃত মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পরে তিনি পরিচয় অস্বীকার করেন। এবং রং নাম্বারে ফোন করেছেন বলে কল কেটে দেন।
Leave a Reply